তিনি বলেছেন, এবার সিটি নির্বাচনের তফসিলে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক সাড়া পড়ছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নিজের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন সিইসি।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের নেতৃত্বে বিএনপির পরামর্শক দলটি সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় বাড়ানোহ ছয়টি অনুরোধ জানায়।
সিইসি বলেন, “শত নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি দল বলেছে, তারা বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে না। যাই হোক, তাদের দাবির বিষয়ে আমি কিছু বিষয় জানিয়েছি।”
‘শত নাগরিক কমিটি’ নির্বাচনের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির ওপরই জোর দিয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও কারাবন্দি থাকার বিষয়টিও উঠে এসেছে তাদের কথায়।
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় বাড়ানোর দাবি জানালেও প্রতিনিধি দলের নেতা অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি মুখ্য নয়। তবে সার্বিক বিষয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতের অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
সিইসি বলেন, “নির্বাচন তো হঠাৎ করে হয়নি। সীমানা জটিলতা শেষ হয়ে আমরা আগে থেকে বলেছি, ১০-১২ মার্চে ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পরে ১৮ মার্চ তফসিল দিয়েছি। মনোনয়ন দাখিলের জন্য তফসিলের ১১ দিন সময় দিয়েছি। ভোটের জন্য ৪০ দিনের বেশি সময় রেখেছি।”
“ইতোমধ্যে তিন সিটিতে মেয়র-কাউন্সিলর পদে অনেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছে, ভালো সাড়া পড়েছে। সবাই যথেষ্ট সময় পাচ্ছে।”
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৯ মার্চ মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। ভোট হবে আগামী ২৮ এপ্রিল।
বিএনপির এখনও এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও বুধবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দলটির দুই নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও আব্দুস সালাম মনোনয়নপত্র নিয়েছ।
‘শত নাগরিক কমিটি’ বিএনপির কারাবন্দি ও আত্মগোপনে থাকা নেতাদের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়ে ইসির পদক্ষেপ চেয়েছে।
এ বিষয়ে সিইসি বলেন, “কেউ আত্মগোপনে থাকলে তাকে আমরা কিভাবে বের করব, তবে সুষ্ঠু পরিবেশের সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিএনপির ভাষায় ‘সরকারের আজ্ঞাবহ’ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ এই কর্মকর্তা জানান, এই ইসির অধীনে ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
“আমি তাদেরকে বলেছি- অতীতে আমরা যেভাবে সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি, এবারও একইভাবে সুষ্ঠু ভোট হবে।”