ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার বাজেট ধরেছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 24 Mar 2015, 09:15 PM
এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে নির্বাচন পরিচালনা ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন খাতে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য বাজেটে প্রায় ২০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে বলে ইসির উপ সচিব শাহজাহান খান জানান।
ভোটের আগের পরিস্থিতি বিবেচনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হলে ব্যয়ও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন পরিচলনার মোট ব্যয়ের দুই তৃতীয়াংশই নিরাপত্তা রক্ষায় যায়। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে বাজেট ৬৫ কোটি টাকার বাইরে আরও কয়েক কোটি টাকা বাড়তে পারে।
শাহজাহান খান বলেন, চট্টগ্রামের নির্বাচনের জন্য চলতি অর্থ বছরের বাজেটে বরাদ্দ অর্থ কমিশনের হাতে আছে। ঢাকার ভোটের জন্য কিছুদিন আগে অর্থ বিভাগকে চাহিদার কথা জানানো হয়েছে। শিগগিরই অর্থ ছাড় করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২৮ এপ্রিল তিন সিটির ভোট আয়োজনে কমিশন যে কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নসূচি চূড়ান্ত করেছে তাতে ২ এপ্রিল ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ, ১২ এপ্রিল নির্বাচন পরিচালনার অর্থ বরাদ্দ, ১০ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে ব্যালট পেপার মুদ্রণ ও ১৯ এপ্রিল আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক শেষ করবে ইসি।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, ১২ মার্চ প্রাক নির্বাচনী সমন্বয় সভা থেকে শুরু করে ২৮ এপ্রিল ভোট শেষ করা এবং ৩০ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের পর ২ মে নির্বাচিতদের গেজেট যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো পর্যন্ত ২০ দফা কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
ইসির উপ সচিব সামসুল আলম জানান, কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন সিটির ভোট সম্পন্ন করতে কর্মিপরিকল্পনা মেনেই সব কিছু চলছে।
তিন সিটিতে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের বিপরীতে ব্যালট পেপার মুদ্রণের বিষয়ে মঙ্গলবার একটি সভা হয়।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫৬৮ ভোটারের বিপরীতে তিনটি পদে ১ কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৭০৪টি ব্যালট পেপার মুদ্রণ করা হবে।
মুদ্রণ সম্পন্ন করা হবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরদিন ১০ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে। মেয়র পদের প্রার্থীদের নামসহ প্রতীক থাকবে ব্যালট পেপারে। কাউন্সিলরদের ক্ষেত্রে শুধু প্রতীক থাকবে।
নির্বাচনী মালামাল ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানো, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমসহ ভোটের আগে পরে অন্তত চার দিন কয়েক লাখ লোক ভোটের কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন চূড়ান্ত করতে ১৯ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার মতামত নেবে ইসি।
নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, এ নির্বাচনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার-ভিডিপি ও এপিবিএন সদস্যদের নিয়োজিত রাখা হবে। তবে তেমন পরিস্থিতি দেখা না দিলে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা নেই বললে চলে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদও এর আগে বলেছেন, ভোটের আগে পরিস্থিতি নিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সঙ্গে বসবেন। সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন রয়েছে কিনা সে সিদ্ধান্ত তখনই হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত আছে। ১ ও ২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে প্রত্যাহারের শেষ সময় রাখা হয়েছে ৯ এপ্রিল।
ভোটের পর ২৯ এপ্রিল সব ফল নিয়ে ৩০ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।