প্রথম আলোর প্রতিনিধি মিজানকে ‘নির্যাতন’ নিয়ে প্রশ্ন হাই কোর্টের

প্রথম আলোর পটুয়াখালীর বাউফল প্রতিনিধি এ বি এম মিজানুর রহমানকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন কেন অবৈধ হবে না, সরকারকে তা জানাতে বলেছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকও পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2015, 12:55 PM
Updated : 24 March 2015, 12:55 PM

মিজানের বাবা আব্দুস সালামের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি রাজিল আল জলিলের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই রুল দিয়েছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক, পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার ও বাউফল থানার ওসিসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যরিস্টার রফিক-উল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে তাপস বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানালেও আবেদনকারীর আইনজীবীদের দাবি, আদালতে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে।

এদিকে পটুয়াখালীর আদালতে মঙ্গলবার মিজানের পক্ষে জামিনের আবেদন হলেও তা নাকচ করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিমল চন্দ্র সিকদার।

মিজানের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়ে ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন বিচারক। এরপর আগামী ১ এপ্রিল জামিনের আবেদনের শুনানি আবার হবে।

মিজান বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। প্রিজন ভ্যানে করে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই সময় তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা গেছে।

মিজানের আইনজীবী লুৎফর রহমান খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশের নির্যাতনে এখনও অসুস্থ থাকায় এজলাসে যাওয়ার সময় খুঁড়িয়ে পুলিশের সহায়তায় হাঁটতে হয়েছে তাকে।”

নিম্ন আদালতের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে মিজান অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়েছিলেন, যা জজ আদালত নাকচ করেছে।

মিজানের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠিত হবে, তাতে জেলা সিভিল সার্জনকে নেতৃত্ব দিতে বলেছে আদালত।

পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গত ১৭ মার্চ মিজানকে বাউফলের কালাইয়া বন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর থানা হাজতে রাতভর মিজানের ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা শামীমার অভিযোগ।

১৮ মার্চ মিজানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরপর গত ২২ মার্চ পটুয়াখালীর দ্বিতীয় বিচারিক আদালতের হাকিম এ এস এম তারিক শামসের আদালতে মিজানের জামিন আবেদন নাকচ হয়।