ইতোমধ্যে ফেনীতে আহত স্কুলছাত্র মিনহাজুল ইসলাম অনিক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল কাদির মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অনিকের সঙ্গে আহত তার সহপাঠী শাহরিয়ার হৃদয় এবং গাইবান্ধায় আহত ট্রাকচালক লিটন মিয়াকেও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আর্থিক সহায়তায় বিদেশে পাঠানো হচ্ছে।
ঢাকাতেও এদের চিকিৎসা খরচ বহন করছেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা অবরোধের সহিংসতায় অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে; এদের মধ্যে বেশিরভাগই গাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলার কারণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। পেট্রোল বোমায় পুড়ে আহত হয়েছেন আরো প্রায় দু’শতাধিক মানুষ।
খোকন জানান, পেট্রোল বোমার আগুনে পুড়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৪ জন। ঢাকায় চিকিৎসা নেওয়া প্রত্যেক রোগীকে প্রধানমন্ত্রী হাতখরচ হিসেবে ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।
“ঢাকার বাইরে ভর্তিকৃত অনেককেই আওয়ামী লীগ নেতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদান পৌঁছে দিয়েছেন এবং রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, চট্টগ্রাম ও বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ রোগীদের নিয়মিত খোজ খবর রাখছেন।”
খোকন বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন এই রোগীদের ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় সবকিছু করার নির্দেশ দিচ্ছেন। বিশেষভাবে স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে আহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি নির্দেশ নিয়েছেন।”
সমাজকল্যাণমন্ত্রী আহতদের পরিবারের জন্য ভিজিএফ কার্ডের ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব আরও জানান, বার্ন ইউনিটে শয্যার তুলনায় রোগী বেশি হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত নার্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত চিকিৎসক দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০ জন অতিরিক্ত চিকিৎসক ও ২০ জন নার্স পদায়ন করা হয়েছে।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের একজন পরিচালক জুলফিকার লেনিনকে সার্বক্ষণিক দেখা-শোনার দায়িত্ব দিয়েছেন, যিনি যেখানে যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা নিচ্ছেন।”