বিএনপির লাগাতার অবরোধের মধ্যে রাজশাহীতে মধ্যরাতে ঢাকাগামী একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় মা-মেয়ে দগ্ধ হয়েছেন।
Published : 20 Jan 2015, 08:19 AM
সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে নগরীর ভদ্রা ভাংড়িপট্টি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারায় থাকা গাড়িবহরের মধ্যে ওই বাসে এ হামলা হয় বলে বোয়ালিয়া থানার ওসি খন্দকার নূর হোসেন জানিয়েছেন।
বোমা হামলার পর বাস থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আরো দুজন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
দগ্ধ মা আম্বিয়া বেগম (৪৫) ও মেয়ে রিফাতসহ (১৭) আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আম্বিয়া বেগমের দুই হাতসহ মুখের বাঁ অংশ এবং রিফাতের বাঁ হাতের কিছু অংশ ঝলসে গেছে।
তাদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহারাজপুর গ্রামে। ইসরাইল হোসেনের মেয়ে রিফাত ঢাকা পলিটেকনিকের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্রী। পরীক্ষায় অংশ নিতে অবরোধের মধ্যেই মাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার পথে ছিলেন তিনি।
হাসপাতালে ভর্তি অপর দুজন হলেন- সুফিয়ান (৫০) ও তার ছেলে মাইনুল (২০)।
ওসি নূর হোসেন জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারায় শিশির এন্টারপ্রাইজের ওই বাসসহ ১৫/১৬টি যানবাহন ঢাকা যাচ্ছিল। ওই বাসের পেছনে আরো দুটি বাস ও একটি ট্রাক ছিল।
গাড়িবহরটি রাত ১২টার দিকে রাজশাহী টার্মিনাল থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই বাসটিতে হামলা হয়। কয়েকজন দুর্বৃত্ত গলির ভেতর থেকে বাসটি লক্ষ্য করে একটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে।
“বাসের মাঝের একটি জানালার কাচ ভেঙে বোমাটি ভেতরে ঢুকে ছয়টি আসন পুড়ে যায়। এসময় মা-মেয়ে দগ্ধ হন।”
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসার আগেই বাসের লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।
বাসের যাত্রী ঢাকা পলিটেকনিকের আরেক ছাত্র রাকিবুল হাসান জানান, বোমা হামলার পর বাসের মধ্যে ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে গেলে তিনিসহ পেছনের যাত্রীরা জানালা দিয়ে নেমে যান। জানালার কাঁচ ভেঙে তিনজন যাত্রীকে বের করার পর তিনি নামার সময় সামান্য আহত হয়েছেন।
পরে রাকিবুলসহ দুই শিক্ষার্থীকে অন্য একটি বাসে তুলে দেওয়া হয় বলে ওসি জানিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি সারা দেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেওয়ার পর প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাংচুর, বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি ভোররাতে রংপুরের মিঠাপুকুরে ঢাকামুখী একটি বাসে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়।