শৈত্যপ্রবাহের মাঝে বৃষ্টির আভাস

বছর শেষে বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহের মাঝে দেশের কয়েকটি বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2014, 12:05 PM
Updated : 31 Dec 2014, 12:05 PM

বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোনো কোনো জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে এবং দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সানাউল হক বলেন,বৃষ্টির সময় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে বৃষ্টির পর জেঁকে বসা শীত একটু তীব্র হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

পৌষের দ্বিতীয়ার্ধে মঙ্গলবার কক্সবাজারের টেকনাফে এক মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার ভোরে খুলনায়ও বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরে কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া ও শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে তা কমে যেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

ফাইল ছবি

বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম স্বাক্ষরিত দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,  জানুয়ারি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের (৭-১৩ মিলিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে।

এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহ এবং অন্যত্র দুই থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

নভেম্বরে সারাদেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা ৯৮ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত মাসে পশ্চিমা লঘুচাপ দুর্বল থাকায় এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট কোন লঘুচাপ বা নিম্নচাপ বাংলাদেশের উপকুল অতিক্রম না করায় সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।