গাজীপুরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঢিলেঢালাভাবে চলছে।
Published : 27 Dec 2014, 09:07 AM
শনিবার সকালে হরতাল শুরুর পর সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত কোনো মিছিল সমাবেশ দেখা যায়নি। রিকশা-ভ্যানের সঙ্গে বেশ কিছু বাসও চলতে দেখা গেছে সড়কে।
তবে রাজপথে মিছিল-সমাবেশ দেখা গেছে ছাত্রলীগসহ সরকার সমর্থক নেতা-কর্মীদের।
এদিকে ভাওয়াল বদরে আলম কলেজে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সেখানে কাউকে সভা করতে দেওয়া হবে না বলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই কলেজে শনিবার খালেদা জিয়ার জনসভা করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে জেলায় এই হরতাল ডেকেছে ২০ দল। এদিন এই মাছে ছাত্রলীগ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
তার প্রতিবাদে শুক্রবার নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে গাজীপুরে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়।
শীতের সকালে গাজীপুর ও টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কোথাও কোনো মিছিল বা পিকেটিং দেখা যায়নি।
টঙ্গী থানার ওসি কাজী ইসমাইল হোসেন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হরতালে নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও যানবাহন বা অন্য কিছু ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।
গাজীপুর জেলার মধ্য দিয়ে যাওয়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল দেখা যায়নি। তবে গাজীপুর থেকে রাজধানীতে যাতায়াত করা যাত্রীবাহী বিভিন্ন বাস ও মিনিবাস চলতে দেখা গেছে।
বিভিন্ন কলকারখানা এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করেছে।
সকালে ভাওয়াল বদরে আলম কলেজে গিয়ে দেখা যায়, তা পুলিশ ঘিরে রেখেছে। কলেজ সংলগ্ন সড়কেও রয়েছে পুলিশের অবস্থান।
কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় এখানে কাউকে কোনো সভা করতে দেওয়া হবে না।
বিএনপির অভিযোগ, খালেদার সভা ভণ্ডুল করতেই সরকার এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল গাজীপুরে। এর মধ্যেই শুক্রবার রাতে টঙ্গীতে বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।