কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছারউদ্দিন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মইনুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।
নেছার বলেন, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম ডাকঘরের তেবারিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুস সামাদের ছেলে মইনুল।
“মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ছনকা বাজার ডাকঘরের ছনকা গ্রামের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল সামাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিজের পিতার সনদ হিসাবে বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সঙ্গে কমিশনে দাখিল করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগের সুপারিশ নেন তিনি।”
মইনুলের মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির বিষয়ে পিএসসিতে অভিযোগ এলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
তিনি বলেন, ওই কমিটির ডাকে সংশ্লিষ্ট অন্যরা কমিটিতে বক্তব্য দিলেও মইনুল ও তার বাবা হাজির হননি।
“পরে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার এবং মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের জবানবন্দি ছাড়াও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।”
প্রতারণা, জালিয়াতি ও দুর্নীতির জন্য মইনুলের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগের সুপারিশ বাতিল করে কমিশনে অনুষ্ঠেয় সব নিয়োগ পরীক্ষায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান নেছার।
জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়ায় তিন সচিব ও এক যুগ্ম-সচিবের মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিল করেছে সরকার।
এছাড়া বেশ কয়েকজনের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।