মঙ্গলবার সব অফিস আদালত খোলা থাকলেও প্রতিটি অনুষ্ঠানেই বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির সমাগম ঘটে।
প্রতিটি অনুষ্ঠানেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা একাত্তরের ঘাতকদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার করেন এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খানসহ চিহ্নিত যেসব যুদ্ধাপরাধী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
শিকাগোর শেখ মুজিব ওয়েতে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু করে সমবেত প্রাবাসীরা ‘জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন।
১৯৯৭ সালের ২৮ অক্টোবর শিকাগো সিটির ডেভন এভিনিউয়ের অংশবিশেষের নামকরণ করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার শেখ মুজিবুর রহমানের নামে।
শিকাগো অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের অনারারি কন্সাল জেনারেল মুনীর চৌধুরী এই বিজয় সমাবেশে বক্তব্য দেন। ইলিনয় স্টেইট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নিউ জার্সির প্যাটারসন সিটি হলের সামনে বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সিটি মেয়র হোসে জয়ে টরেস। গত ৬ বছর ধরে এ শহরে নিয়মিত বিজয় দিবস উদযাপন করছেন প্রবাসী বাঙালিরা।
নিউ ইয়র্কে উদীচী স্কুল অব পারফর্মিং আর্টস এর উদ্যোগে বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য উৎসবে অংশ নেয় কয়েকশ শিশু-কিশোর। এরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেও সবাই বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে শিখেছে।
বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সমাবেশের বক্তারা বিএনপি নেতা তারেক রমানের সাম্প্রতিক বিতর্কিত বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার বলায় ফেরারি আসামি তারেককে অবিলম্বে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ডের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী।