আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাকে গ্রেপ্তারে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
Published : 10 Dec 2014, 02:05 PM
আপিল বিভাগ বুধবার এ বিষয়ে একটি আবেদন নিষ্পত্তি করে দিলে এ কথা জানান রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজ পাড়ার বাসার সামনে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ওই ঘটনায় ২১ জানুয়ারি ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে 'হত্যায় সাংসদ, মেয়রের হাত!' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে হাই কোর্টে আসেন সাংসদ আমানুর রহমান ও তার তিন ভাই।
১৭ সেপ্টেম্বর হাই কোর্ট আমানুর রহমান ও তার তিন ভাইকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে নির্দেশ দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে চেম্বার বিচারপতি হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেয়। পরে তা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ বুধবার শুনানি করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে দেয়। পাশাপাশি রুল নিষ্পত্তি না হওয়ার পর্যন্ত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত রাখার আদেশ দেয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম পরে সাংবাদিকদের বলেন, এই আদেশের ফলে সাংসদ আমানুর ও তার তিন ভাইকে গ্রেপ্তারে কোনো আইনি বাধা রইল না।
এজাহারে নাম না থাকার পরও তাদের গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ কেন আসছে- এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “এটাইতো বিষয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে তদন্তকারী কর্মকর্তার উপর নির্ভর করে। কাকে গ্রেপ্তার করবেন আর কাকে করবেন না- সেটা তার বিষয়।
“তবে যেহেতু আমানুর ও তার ভাইয়েরা গ্রেপ্তার এড়াতে হাই কোর্টে এসেছেন, তাই ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’ বিষয়টা সামনে চলে আসে।”
আমানুরের তিন ভাইয়ের মধ্যে সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক; জাহিদুর রহমান খান কাঁকন টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এবং সানিয়াত খান বাপ্পা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা।