মালয়েশিয়ার সঙ্গে দুটি সমঝোতা স্মারকে মন্ত্রিসভার সায়

পর্যটন ও সংস্কৃতি নিয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে দুইটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2014, 03:20 PM
Updated : 24 Nov 2014, 04:39 PM

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে দুটি সমঝোতা স্মারক অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, “মালয়েশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য ‘মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং বিটুইন দ্য গভর্নমেন্ট অফ মালয়েশিয়া অ্যান্ড দ্য গভর্নমেন্ট অফ দ্য পিপলস রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ অন কো-অপারেশন ইন দ্য ফিল্ড অফ ট্যুরিজম’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারক অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

“এছাড়া ‘মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং বিটুইন দ্য গভর্নমেন্ট অফ মালয়েশিয়া অ্যান্ড দ্য গভর্নমেন্ট অফ দ্য পিপলস রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ অন কো-অপারেশন ইন দ্য ফিল্ড অফ কালচারাল, আর্টস অ্যান্ড হেরিটেজ’ শীর্ষক আরেকটি সমঝোতা স্মারকও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। তখন এ দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।”

পর্যটন খাতের সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, মার্কেটিং প্রমোশন কার্যক্রমে সহযোগিতার করবে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া।

“এছাড়া এ চুক্তির আওতায় প্যাকেজ ট্যুর পরিচালনা, পর্যটন মেলা, প্রচার সামগ্রী বিনিময়, পর্যটনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার কাজও করবে দুই দেশ।।”

সাংস্কৃতিক চুক্তির বিষয়ে মোশাররাফ হোসাইন বলেন, “এ সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ও মালয়শিয়া শিল্প, সাহিত্য ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে কাজ করবে। এছাড়া দুদেশের মিউজিয়াম, আর্কাইভ, শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে পরস্পরকে সহযোগিতা করবে।

“আর্ট অ্যান্ড কালচারের ক্ষেত্রে দুদেশের বেস্ট প্র্যাকটিস (উত্তম চর্চা) বিনিময়, গবেষণা ও প্রকাশনা বিনিময়, কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে এ চুক্তির মাধ্যমে।”

“দুটি সমঝোতা স্মারকেরই অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে দুপক্ষের তৃতীয় পক্ষ (থার্ড পার্টি) যুক্ত করা বিধান রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে কোন বিরোধ হলে পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সামাধান করতে হবে বলেও স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে,” বলেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “পর্যটন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ হবে ৫ বছর। তবে কেউ আপত্তি না তুললে মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়বে।

“তবে সংস্কৃতি বিষয়ক সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ হবে তিন বছর। এক্ষেত্রেও কেউ স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেয়াদ তিন বছর বাড়বে। ছয় মাসের সময় দিয়ে যে কোন পক্ষ চুক্তি প্রত্যাহার করতে পারবে।”