দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “উনার (খালেদা) বক্তব্য রাজনৈতিক। দুদক রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে কাজ করে না।”
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে দুদকের সমালোচনা করা ঠিক নয়। সমালোচনা গঠনমূলক হওয়া উচিৎ।”
সম্প্রতি কিশোরগঞ্জে বিএনপির এক জনসভায় খালেদা জিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনকে ‘দায়মুক্তির’ কমিশন আখ্যায়িত করেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা দুটি মামলার কার্যক্রম বর্তমানে চলছে।
এছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার ছেলে তারেক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধেও দুদকের মামলা চলছে।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দুদকের মামলার আসামির তালিকায় রয়েছে সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান এবং সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম।
দুদকের অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজশাহীর সাংসদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দুদকের দুই কমিশনারের মতপার্থক্যের বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের প্রতিক্রিয়ায় চেয়ারম্যান বলেন, “মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
গত ২১ নভেম্বর ছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তবে সেদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় রোববার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে সংস্থার উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান।
দুদক কমিশনার নাসিরউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।