‘শাহজালালে সংঘর্ষের দায় ছাত্রলীগের নয়’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে এক জনের নিহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগ দায়ী নয় বলে দাবি করেছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2014, 09:31 AM
Updated : 21 Nov 2014, 09:31 AM

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বহিরাগতরা এসে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে জড়ানোর ‘হীন’ চেষ্টা করছে।”

বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের দুইপক্ষে সংঘর্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র সুমন দাস নিহত হন।

লিখিত বক্তব্যে বদিউজ্জামান বলেন, “সুমন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়েরও শিক্ষার্থী ছিল না। আপনাদের মতো আমাদেরও প্রশ্ন গতকাল কেন তিনি (সুমন) ক্যাম্পাসে আসলেন।”

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতি করলে তা করবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বহিরগতরা ক্যাম্পাসে কেন আসবে? আর তার দায় বরাবরের মত ছাত্রলীগের ঘাড়ে কেন বর্তাবে?”

ছাত্রলীগ সভাপতি ওই সংর্ঘষের অন্যতম হোতা হিসেবে উত্তম কুমারকে দায়ী করেন।

তিনি দাবি করেন, “উত্তম কুমার ২০১৩ সালের ৮ মে ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক শামসুজ্জামান চৌধুরীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় বহিষ্কৃত। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। অথচ পুলিশ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”

উত্তম কুমারের দায় ছাত্রলীগ নেবে না বলে জানিয়ে বদিউজ্জামান বলেন, “ত্যাজ্য পুত্রের অভিভাবক হওয়ার কোনো প্রয়োজন ছাত্রলীগের নেই।”

“আমরা বারবার আহ্বান জানিয়েছি অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। কিন্তু শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছাত্রলীগের নয়। সে দায়িত্ব পুলিশের।”

তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের যে বা যারা জড়িত বলে নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।”

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির, মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক শামসুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।