ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলামকে নিয়ে ‘অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে সৌমিন শাহরিদ জেভিন।
Published : 18 Nov 2014, 12:53 AM
এতে তার বাবার হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ‘দৃষ্টি’ অন্যদিকেও চলে যেতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাবেরী গায়েনের মাধ্যমে তিনি এই তথ্য জানান।
সোমবার রাত ১১টা ৪৩ মিনিটে কাবেরী গায়েন ‘একটি অনুরোধ জানিয়ে দেয়া’ শিরোনাম দিয়ে নিজের ফেইসবুকের ওয়ালে লিখেছেন, জেভিন ফোন করে একটি অনুরোধ করেছেন।
“আমার ফেইসবুকে যেহেতু অনেক মিডিয়া হাউসের নীতি নির্ধারক ও গণমাধ্যমের সাংবাদিক রয়েছেন তাই সেই সুযোগটি নিতে চাই আমাদের ছাত্র সৌমিন শাহরিদের অনুরোধটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য।”
জেভিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
ফোনে নিজের ছাত্রের সঙ্গে আলাপচারিতার সারাংশ তুলে ধরেছেন কাবেরী। যাতে তিনি লিখেছেন জেভিন তাকে বলেছে, “মা ছোটবেলায় মারা গেছেন, বাবাই ছিলেন তার মা-বাবা-বন্ধু।”
কথা বলার সময় সৌমিন পাগলের মত ভীষণ কাঁদছিলেন বলেও জানিয়েছেন তার শিক্ষক কাবেরী।
তবে শফিউলকে ঘিরে কিছু ‘কুৎসামূলক’ প্রচারণা শুরু হয়েছে জানিয়ে ছেলে বলছেন, তাতে তিনি দুঃখিত।
“এতে করে তার বাবার প্রকৃত হত্যাকারীদের দিক থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে চলে যেতে পারে। সেটি যেনো না ঘটে, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কোন মনগড়া কিছু যেনো গণমাধ্যমে প্রকাশ করা না হয়, সেই ব্যাপারে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।”
শফিউলের হত্যাকাণ্ডের জন্য রোববার জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করে জাভিন বলেছিলেন, “আমার বাবার হত্যাকাণ্ডে ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলো জড়িত। আমি আমার বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।”
সৌমিনের এই বক্তব্যের আগে ফেইসবুকের একটি পাতায় অধ্যাপক শফিউলকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে তাকে হত্যার দায় স্বীকার করা হয়।
শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় লালনভক্ত অধ্যাপক শফিউল খুন হওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ নামে ওই ফেইসবুক পাতাটি খোলা হয়।