এ ঘটনায় বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার মধ্য রায়েন্দা গ্রামের বাসিন্দা ও ট্রলার মালিক মো. হাতেম আলী মোল্লা শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং- ৮৭৯) করেছেন।
জিডিতে বলা হয়, গত ২১ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরের হিরণপয়েন্টের ভারতীয় জলসীমা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার ওসি কাজী আব্দুস ছালেক বলেন, ট্রলার মালিক গত ২৬ অক্টোবর থানায় একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি অভিযোগকারীদের স্ব-উদ্যোগে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দূতাবাস পর্যায়ে যোগাযোগ করার পরামর্শও দেয়া হয়েছে বলে ওসি জানান।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্যা বলেন, “এ ধরনের ঘটনায় সাধারণত আমাদের খুব একটা কিছু করার থাকে না। ভারত বা বাংলাদেশের যথাযথ কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আমাদের এখনও কিছু জানায়নি।
“তবে আমরা ওই সাধারণ ডায়েরির সূত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ঘটনাটি অবহিত করব।”
থানায় জিডিতে বলা হয়, গত ১৫ অক্টোবর এসব জেলে ট্রলার এফবি রহিমায় করে শরণখোলা থেকে সাগরে ইলিশ আহরণে যান।
পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের শরিফুল মিয়া (২৫), মো. নুরু ফকির (৪৩) ও মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের মো. ওবাইদুল কবিরাজ (৩৪)।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কুমারখালি গ্রামের মো. আলম গাজী (৩৯), পটুয়াখালির কলাপাড়ার দড়িকাটা বইলতলী গ্রামের মো. তারেক মুন্সি (৩৬) এবং বরিশাল নগরীর গণপাড়া এলকার মো. খোরশেদ আলম মাঝি (৪৯)।
এফবি রহিমার মালিক মো. হাতেম আলী মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ট্রলারটি ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়লে ওইখানে টহলে থাকা দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়।
“তারা ভারত থেকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। আটক জেলেরা বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর কারাগারে রয়েছেন।”
জেলেদের ভারতের কারাগার থেকে মুক্ত করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান মতিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারতে আটক এফবি রহিমার অধিকাংশ জেলের বাড়ি আমার ইউনিয়নে। পরিবারের উপার্জনক্ষম এ পুরুষরা বাড়ি ফিরতে না পারলে পরিবারগুলোকে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকতে হবে।”