এ দুই জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুই দফা পেছানোর পর মতিউর রহমান নিজামীর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হতে যাচ্ছে বুধবার, যার বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রসহ ১৬টি অভিযোগ রয়েছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার জানান, বুধবার সকাল থেকে বিজিবির সদস্যরা জেলায় টহল দেবে।
ফেনীস্থ বর্ডার গার্ড বাংরাদেশের (বিজিবি’র) ৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেজর মোহাম্মদ শামীম ইফতেখার জানান, বুধবার মতিউর রহমান নিজামীর মামলার রায় প্রদানকে কেন্দ্র করে ফেনীতে যেন নাশকতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসক তার কাছে বিজিবি চেয়েছেন।
সে আলোকে ফেনী ও নোয়াখলীতে পর্যাপ্ত বিজিবির সদস্য পাঠানোর পক্রিয়া শুরু করেছেন তারা।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সাইফুল হক জানান, শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, ট্রাংক রোড, পাঠানবাড়ি রোড, শাহীন একাডেমী রোড, কুমিল্লা বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।
র্যাব-৭ সিপিসি-১ ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আহম্মেদ হোসেন মহিউদ্দিন জানান, র্যাব নিজস্ব নিয়মিত টহলের পাশাপাশি শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইত্যেমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
বগুড়া প্রতিনিধি জানান, মতিউর রহমান নিজামীর মামলার রায়কে সামনে রেখে বগুড়ায় ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক শফিকুর রেজা বিশ্বাস জানান, শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য আহবান করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত বা বুধবার সকালে তারা বগুড়ায় আসবে।
বগুড়া পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক জানান, যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে বগুড়ায় জামায়াত শিবির শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েছিল। তাই সতকর্তামূলক ব্যবস্থা নিতে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।
এছাড়া বগুড়া পুলিশ প্রশাসন যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান এসপি মোজাম্মেল।