মৃত্যুর সময়ও গোলাম আযমের ‘রাজনীতি’

যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতদের দিয়ে জানাজা করার ‘ইচ্ছা’ জানিয়ে গোলাম আযম মৃত্যুর সময়ও ‘রাজনীতি’ করে গেছেন বলে মন্তব্য করছেন যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবির আন্দোলনের নেতা শাহরিয়ার কবির।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2014, 07:00 PM
Updated : 23 Oct 2014, 07:00 PM

বৃহস্পতিবার রাতে একটি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবির আলোচনা করার সময় যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত গোলাম আযমের মৃত্যুর সংবাদ আসে।

ওই সময় বিএসএমএমইউ হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন জামায়াত নেতার আইনজীবী তাজুল ইসলাম, যা টেলিভিশনে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল।

তাজুল বলছিলেন, গোলাম আযম মগবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হতে চেয়েছেন এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অথবা মতিউর রহমান নিজামীর ইমামতিতে জানাজা পড়ানোর ইচ্ছার কথা পরিবারকে জানিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াতের আমির গোলাম আযমের মতো দলের বর্তমান নায়েবে আমির সাঈদী যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। দলটির আমির নিজামীর বিচার চলছে।

ফাইল ছবি

আইনজীবী তাজুলের ওই বক্তব্য শুনে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির তাৎক্ষণিকভাবে ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেন, “তিনি মৃত্যুর সময়ও রাজনীতি করে গেলেন।

“মানুষ সাধারণত মৃত্যুর আগে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে যান। কিন্তু গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং বিচারাধীন ব্যক্তিদের দিয়ে জানাজা পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে তার আইনজীবী জানালেন।”

যুদ্ধাপরাধীর ইচ্ছা পূরণ হলে ভবিষ্যতে অন্যান্য দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাও একই ধরনের শেষ ইচ্ছা জানাবে বলেও মনে করেন শাহরিয়ার কবির।

“এমনটি হলে অন্যান্য দাগি আসামিরাও বলবে যেহেতু গোলাম আযম.....।”

যুদ্ধাপরাধীদের গুরু গোলাম আযমকে গত বছরের ১৫ জুলাই ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বলা হয়েছে, অপরাধ মৃত্যুদণ্ডসম হলেও বয়স বিবেচনায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

৯২ বছর বয়সী গোলাম আযম বিচারের সময় থেকে কারা হেফাজতে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রায়ের পরও সেখানেই ছিলেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এর কিছু সময়ের মধ্যে তার মৃত্যুর ঘোষণা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।