টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মা ও তিন মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
Published : 10 Oct 2014, 10:30 PM
মির্জাপুর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর মাছরাঙা ফিলিং স্টেশন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন মাছরাঙা ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মীর আজাদুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার আবুল বাশার, সুপারভাইজার ওয়াসিম মিয়া, লাইনম্যান আবদুল মান্নান এবং এ ঘটনার মামলার মূল আসামি কালিয়াকৈর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের নান্নু মিয়া।
এ নিয়ে এ ঘটনায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই নয়াপাড়া গ্রামের সুশান্ত কুমার রায়, সখীপুর উপজেলার বড়চালা গ্রামের বাদশা মিয়া, হানিফ ও রিকশাচালক আলী হোসেন।
একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি গোলাম মোস্তফা আরো জানান, সুশান্তকে ঘটনার দিন ও বাদশাকে ঘটনার পরদিন পুলিশ আটক করে। বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সুশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই হানিফকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পেট্রোল সরবরাহকারী রিকশাচালক আলী হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এলাকায় মানববন্ধন
এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বিকালে সোহাগপাড়া গ্রামবাসী মানববন্ধন করেছেন।
গত সোমবার রাতে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মজিবর রহমানের স্ত্রী হাসনা বেগম, তার তিন মেয়ে মনিরা আক্তার মরিয়ম (১৪), মিম আক্তার (১০) ও মলি আক্তারকে (৭) ঘরের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়।