সুবহানের পক্ষে সাফাই সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মঙ্গলবার এ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
এদিন সুবহানের মামলার দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর হোসেনকে আসামি পক্ষের জেরা শেষ করার মধ্য দিয়ে প্রসিকিউশনের মোট ৩১জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
এরপর অভিযুক্ত সুবহানের পক্ষে দুজন সাফাই সাক্ষ্য দেবেন বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। এর পরপরই দিন ধার্য করে আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল সুবহানের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
৭ এপ্রিল থেকে তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এরপর এ বছরের ২৭ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-১ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করে।
২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে ৮৬ পৃষ্ঠার ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় প্রসিকিউশন। ১৯ সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে সুবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন তদন্ত সংস্থার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও মো. নূর হোসাইন।
ওই দিনই তদন্ত সংস্থা চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেয়। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় প্রসিকিউশন।
এর মধ্যে তদন্তের স্বার্থে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর সেফ হোমে নিয়ে সুবহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত সংস্থা।
২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে সুবহানকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই রাতেই তাকে পাবনা কারাগারে নেওয়া হয়।
২৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সুবহানকে আটক দেখানোর আদেশ চান আদালতের কাছে।
২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয় সুবহানকে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রসিকিউশনের আবেদন আমলে নিয়ে সুবহানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ১ অক্টোবর সুবহানের পক্ষে করা জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
এরপর কয়েক দফা তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় প্রসিকিউশন।