ফুলগাজীতে মিনারের ভোট বর্জনের ঘোষণা

অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনারের পক্ষে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2014, 10:16 AM
Updated : 21 Sept 2014, 10:16 AM

রোববার দুপুরে মিনারের বাড়িতে তার পক্ষে প্রাধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী ফজলুল হক চৌধুরী সাজু এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে এখানে।

ফজলুল হক চৌধুরী সাজু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার দল সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন সকাল থেকে প্রত্যেকটি কেন্দ্র দখল করে তাদের (বিএনপি সমর্থিত) এজেন্টদের বের করে দেয়।

পশ্চিম বশিকপুর এলাকায় যুবদল নেতা লিটনকে কুপিয়ে আহত করে সরাকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন। বন্ধুয়া, সুনীল হাট, ফতেহপুর, পৈথারা, নোয়াপুর, বদরপুর, চকবস্থা, পশ্চিম বশিকপুরসহ অধিকাংশ কেন্দ্রে সকালে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে ফেলে সরকার দলীয় প্রার্থীর কর্মীরা।

আনন্দপুর ইউনিয়নের বন্ধুয়া দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নুরুল করিম জানান, তার বুথের ৩৬টি ব্যালট ছিঁড়ে নিয়ে যায় দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা।

এ কেন্দ্রে অপর বুথের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, তার বুথে প্রায় ১৫টি ছেঁড়া ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেছেন তিনি।

তবে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার অহিদুল ইসলাম এসব ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৩০টি কেন্দ্রের সবগুলো কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ১৯৪টি বুথ ও কেন্দ্রের চারপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিল।

প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার, পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি বিজিবি টহল অব্যহত ছিল। এছাড়া প্রতি দুই কেন্দ্রে একজন করে ১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত ছিল।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবদুল আলিম ‘দোয়াত কলম’, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনার ‘আনারস’ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ সেলিম ‘কাপ-পিরিচ’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনার সাবেক চেয়ারম্যান একরাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি। গত শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার বারডেম হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ২০ মে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একরামুল হক একরামকে তার গাড়িতে পুড়িয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।