বুধবার রাজেন্দ্রপুর সাইনবোর্ড এলাকার গ্লোব এন্ড গ্লোভস্ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এটিকে গণহিস্টেরিয়া বললেও রাজেন্দ্রপুর মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসকের ধারণা কার্বন মনোক্সাইড পয়োজনিং এর জন্য দায়ী।
কারখানার ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান সরকার জানান, দুপুরের খাবার বিরতির আগে শৌচাগার থেকে বের হওয়ার পর এক নারী শ্রমিকের প্রচণ্ড খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর একইভাবে আরো ২৯ জনের শ্বাসকষ্ট ও খিচুনি শুরু হয়। এ সময় কারো কারো নাক দিয়ে লালা ঝরতে দেখা যায়।
এদের মধ্যে হালিমা (১৮), আলেয়া (৩০), মাজেদা (২২), নাসিমা (৩০), শারমিন (১৯), আবেদা (২০), শাহানাজসহ (২০) মোট ১৩ জনকে গাজীপুর সদর হাসপাতালে এবং বাকি ১৭ জনকে রাজেন্দ্রপুর মডার্ন হাসপাতাল ও রাজেন্দ্রপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পরপর বুধবারের জন্য কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয় বলে জানান তিনি।
গাজীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মোহসীন জানান, সদর হাসপাতালে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। তারা গণহিস্টেরিয়ায় ভুগছেন।
রাজেন্দ্রপুর মডার্ন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিথুন সূত্রধর জানান, অসুস্থ ১৫ শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস পয়োজনিংয়ের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইইএনও) মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান এবং শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আহমেদুল কবির কারখানা পরিদর্শন করেছেন।