হবিগঞ্জের সাতছড়ির ত্রিপুরা পল্লীর একটি বাড়িতে ‘মাটির নিচে’ আবারও ‘বিপুল পরিমাণ’ অস্ত্র ও গোলাবারুদের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।
Published : 17 Sep 2014, 01:33 PM
র্যাব-৯ এর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার মোছাব্বির হোসেন বুধবার সকালে জানান, সাতছড়ির ত্রিপুরা পল্লীর অজিত দেব বর্মণের বাড়ির ছাগলের ঘরের নিচে বাঙ্কার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
অস্ত্রগুলোর মধ্যে ১১২টি রকেট ও ৫০ টি রকেট চার্জার রয়েছে বলে জানান তিনি।
মোছাব্বির জানান, র্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান পরে সাতছড়িতে প্রেস বিফ্রিং করে বিস্তারিত বলবেন।
এর আগে গত ৩ জুন সাতছড়ির ত্রিপুরা পল্লী ও আশপাশের বিভিন্ন টিলায় অভিযান চালিয়ে সাতটি বাংকারের সন্ধান পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
১৯ জুন পর্যন্ত সংরক্ষিত বনাঞ্চলে টিলার নিচের গর্ত ও বাংকার থেকে চারটি ৭ দশমিক ৬২ মিলিমিটার বোরের মেশিন গান, মেশিন গানের পাঁচটি অতিরিক্ত ব্যারেল, ২২২টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৪৮টি রকেটের চার্জ, ৭ দশমিক ৬২- ৩৯ মিলিমিটার বোরের ১১ হাজার ৫৮০ বুলেট, ১২ দশমিক ৭ মিলিমিটার বোরের ২৮৪টি মেশিন গানের বুলেট, ৭ দশমিক ৬২-৫৪ মিলিমিটার বোরের ৪৪০টি বুলেট, ১৯টি মিশন গানের ড্রাম এবং যন্ত্রাংশ উদ্ধার করার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২ সেপ্টেম্বর সেখানে অভিযান চালিয়ে আবারো অস্ত্র পাওয়ার কথা বলে র্যাব।
ওইদিন র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে নয়টি এসএমজি, একটি এমএমজি, একটি বেটাগান, একটি ৭ দশমিক ৬২ মিলিমিটার বোরের অটোরাইফেল, ছয়টি এসএলআর, দুটি এলএমজি, একটি স্নাইপার টেলিস্কোপিক সাইট ও ২৪০০ গোলাবারুদ রয়েছে।
প্রথম দফা অস্ত্র উদ্ধারের পর চুনারুঘাট থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেসহ দুটি মামলা হয়।
যে স্থানটিতে এই গোলাবারুদ পাওয়া গেছে, তা এক সময় অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্সের (এটিটিএফ) আস্তানা ছিল বলে মনে করা হয়। ত্রিপুরার এই বিদ্রোহী দলটি এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে।