তবে সিন্ডিকেটের চার ক্যাটাগারির পদে তাদের সঙ্গে সমান ভাগ বসিয়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল।
রোববার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর সন্ধ্যায় ফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আলমগীর চৌধুরী।
নির্বাচনে সাত অনুষদের ডিন পদের মধ্যে ছয়টিতে জয়ী হয়েছেন হলুদ দলের পার্থীরা। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সবকটি পদও তারাই পেয়েছে।
তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হলুদ দল থেকে যথাক্রমে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ৯৫ ভোট এবং ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইনুল হাসান চৌধুরী ৬১ ভোট পেয়েছেন।
হলুদ দল থেকে সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে দর্শন বিভাগের মাছুম আহাম্মেদ ৯১ ভোট ও প্রভাষক ক্যাটাগরিতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের রাজীব আচার্য্য ১২৮ ভোট পেয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হয়েছেন।
ডিন নির্বাচনে বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ ছাড়া অন্য পাঁচ অনুষদে সরকারপন্থী শিক্ষকরা জয় পেয়েছেন।
হলুদ দল থেকে জয় পেয়েছেন কলা অনুষদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেকান্দার চৌধুরী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম, আইন অনুষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী (হলুদ দলের বিদ্রোহী) অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, জীববিজ্ঞান অনুষদে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের মো. মাহবুবুর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ফলিত পদার্থ বিভাগের ড. শংকর লাল সাহা জয়ী পেয়েছেন।
এছাড়া সমাজবিজ্ঞান অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অর্থনীতি বিভাগের সরকারপন্থী শিক্ষক আবুল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনে হলুদ দলের সহযোগী অধ্যাপক পদে দুটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পদার্থবিদ্যা বিভাগের একেএম রেজাউর রহমান ও পরিসংখ্যান বিভাগের এএইচএম রকিবুল মাওলা নির্বাচিত হয়েছেন।
সহকারী অধ্যাপক পদে রসায়ন বিভাগের ফয়সল ইসলাম চৌধুরী, বাংলা বিভাগের মোহাম্মদ শেখ সাদি জয় পেয়েছেন। দুজনই সরকারপন্থী হলুদ দলের।
এছাড়া প্রভাষক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের মুহাম্মদ মহিউদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
এছাড়া ফিন্যান্স কমিটিতে হলুদ দলের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক রণজিৎ কুমার চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান।