সোমবার দুপুরে মাওয়ার ৩ নম্বর রো রো ফেরি ঘাটটি স্রোতে ভেঙে যাওয়ার তৃতীয় দিন বুধবারও চালু করা যায়নি এ নৌপথে যানবাহন পারাপারের প্রধান মাধ্যম তিনটি রো রো ফেরি।
কম ধারণ ক্ষমতার ৯টি ফেরি দিয়ে চলছে যানবাহন পারাপার। ফলে বুধবার নদীর দুই পাড়ে আটকা পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ছয় শতাধিক যান।
এর আগে গত ১৯ অগাস্ট ৩ নম্বর রো রো ফেরি ঘাটটি ভাঙনের কবলে পড়লে দুদিন পর নতুন জায়গায় স্থাপন করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসি মাওয়া অফিসের ব্যবস্থাপক সিরাজুল হক জানান, বুধবার সকাল থেকে ৩ নম্বর রো রো ফেরি ঘাটটি আগের ৩ নম্বর ঘাটের একশ' ফুট পূর্বে স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ কাজ শেষ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রো রো ফেরি চলাচল আবার শুরু হলেও উজানের পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত সঙ্কট পুরোপুরি কাটছে না বলে জানান তিনি।
এদিকে সোমবারের নদী ভাঙনে রো রো ফেরিঘাটের তলিয়ে যাওয়া র্যামটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তুম।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল, আমানত শাহ ও শাহ আলী নামের তিনটি রো রো ফেরি ছাড়াও টানা জাহাজের (আইটি) অভাব, প্রবল স্রোত ও মেরামত কাজের কারণে আরও চারটি ফেরি বন্ধ রয়েছে।
স্রোতের কারণে চলাচল করা ফেরিগুলোর কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়ায় আসতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগছে।