বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার রয়াদহ এলাকায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্রায় ৫০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
Published : 29 Aug 2014, 12:04 PM
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাঁধ ভেঙে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে প্রবল বেগে বন্যার পানি ঢুকতে থাকে।
এরআগে বর্ষা মৌসুম শুরুর প্রথম থেকেই রয়াদহ এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি কয়েক দফা ধস নামে। ধস ঠেকাতে বালির বস্তা ফেলে তা মেরামতও করা হয়। কিন্তু গত দুই দিনে যমুনায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধিতে বাঁধটি ভেঙে যায়।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম সরকার জানান, সারিয়াকান্দি থেকে ধুনট উপজেলার শেষ প্রান্ত সিরাজগঞ্জের কাজীপুর এলাকার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় পানির চাপ বৃদ্ধির কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনকে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো তত্ত্বাবধায়ন করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যমুনার পানি বিপদ সীমার ৮৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
রাতেই বন্যার পানি রয়াদহ, শেখেরপাড়া, কড়িতলা, কুতুবপুর, দড়িপাড়াসহ ধুনট উপজেলা জোড়শিমুল, শিখাহাটি, সোনাগাঁ, গজারিয়াসহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় যমুনার পশ্চিম ও দক্ষিণ এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে পানি।
এদিকে বন্যার পানিতে ধুনট উপজেলায়ও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে কয়েকশত হেক্টর ফসলি জমি।
বগুড়া- ৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান বিকালে ধুনটের ভান্ডারবাড়ী-গোসাইবাড়ী বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
বগুড়া-১ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান জানান, বন্যার্তদের পুনর্বাসনে জরুরি সাহায্য দেওয়া হবে।