জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্র ও জিঞ্জিরামসহ শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদ সীমার নীচে রয়েছে।
এছাড়া ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ ও সদর উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব এলাকার অন্তত দু্ই লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল জানান, ইসলামপুরের ১২টি ইউনিয়নই এখন বন্যাকবলিত। উপজেলার অন্তত ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রোপা, আমন ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা আরো জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।
মাদারগঞ্জের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলাল জানান, মাদারগঞ্জের অন্তত ৫০/৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
তিনিও বন্যা দুর্গতদের মাঝে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা বৃদ্ধির দাবি জানান।
মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম হাবিবুর রহমান চাঁন জানান, মেলান্দহ উপজেলার ২৫/৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানির তীব্র স্রোতে মেলান্দহ-মাহমুদ সড়কের কজওয়ে (ড্রাইভাশন) ডুবে ভেঙ্গে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এই উপজেলায় এখনো কোন ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়নি বলে জানান তিনি।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, সরকারিভাবে জেলায় বন্যা দুর্গতদের জন্য এ পর্যন্ত ৬০ টন চাল ও নয় লাখ টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
জেলার ৯১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সংস্কার করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম জানান, বন্যায় জেলার ২০ হাজার ৪৪৬ হেক্টর জমির রোপা, আমন, আউশ ও সবজির ক্ষেত ডুবে গেছে।