এদিকে, পারাপারের অপেক্ষায় দুই ঘাটে আটকে আছে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ছয় শতাধিক পরিবহন।
গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি আরও চার সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে মাওয়া বিআইডব্লিউটিসি ম্যানেজার সিরাজুল হক জানান, শনিবার সকাল ৬টার দিকে পানি বিপদসীমার মাত্র দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যা নাগাদ তা বিপদ সীমার উপরে বইবে। তাই সমস্যা আরও প্রকট হবে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উজানের পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভবনা কম। আগে যেসব ফেরি দিনে নয় থেকে ১০ বার পারাপার করত এখন সেগুলো তীব্র স্রোত অতিক্রম করে ৪/৫ বার চলছে। যে ফেরিগুলো চারটি ট্রিপ দিত সেগুলো একটি ট্রিপ দিতে পারে। এ কারণেই দু’পারে যানজট বাড়ছে।”
যে ১১টি ফেরি চলাচল করছে তাও ঘাটের অভাবে মাওয়ায় লোড আনলোড করতে অনেক সময় ব্যয় হচ্ছে। কাওড়াকান্দি থেকে ফেরিগুলোর মাওয়ায় পৌঁছাতে দুই থেকে তিনগুণ সময় বেশি লাগছে।
তবে ঝুঁকি নিয়েই চলছে লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলো। তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলগামী পণ্যবাহী ট্রাকগুলো গত ২/৩ দিন ধরে ঘাটেই আটকা পড়ে আছে।
ঘাট কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, ১৬ ফেরির মধ্যে দিনের বেলায় ১১টি ফেরি চলাচল করলেও গত দু’দিন ধরে রাতে চলছে মাত্র ছয়টি ফেরি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে মাওয়ার ৩ নম্বর রো রো ফেরি ঘাট পদ্মায় বিলীন হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে রাজধানীর নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ১১ ঘণ্টা পর বুধবার সীমিত আকারে সেটি আবার চালু করা হয়।
মাওয়ার ২ নম্বর ঘাটে রো রো ফেরি ঘাট স্থানান্তর করে ৪৬ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চালু হয় রো রো ফেরি পারাপার।
স্পিডবোট ঘাটের কাছে নতুন করে ৩ নম্বর ঘাটের কাজ শুরু হয়েছে, যা চালু হতে আরও দুদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. শামসুজ্জোহা তালুকদার।
এদিকে, নদী ভাঙ্গনে ফেরিঘাট ছাড়াও মাওয়ায় ১৩ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন এবং ৬০টি দোকান সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে, কাওড়াকান্দি প্রান্তের তিনটি ফেরি ঘাট সচল রয়েছে।