বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়।
আদালতে আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
প্রাথমিক শুনানির পর জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, “আইন করবে কি না, সেটা তো সংসদের বিষয়। আইন না করতে আমরা বলতে পারি না।
“আমরা কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। নিয়ে যান, পড়াশোনা করেন। আর সাংবিধানিক বিষয় বোঝে,এমন কোনো সিনিয়র আইনজীবীকে নিয়ে যাবেন।”
সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অভিশংসনের (অপসারণ) ক্ষমতা সংসদকে দেয়ার প্রস্তাব চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ জুলাই এই আবেদন করেন ইউনুস আলী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইন সচিবকে বিবাদী করে দায়ের করা এই আবেদনে রুল চাওয়ার পাশাপাশি এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা এবং স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন তিনি।
রিট আবেদনের পর ইউনুস আলী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “বিচারকদের অভিশংসনের ভার সংসদকে দিয়ে বিচারকদের বিচার যদি সাংসদদের হাতে দেয়া হয়, তাহলে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না। এটা বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”
তুমুল আলোচনার মধ্যে গত ১৮ অগাস্ট মন্ত্রিসভা ‘সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) আইন, ২০১৪’ এর খসড়ায় ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
১৯৭২ সালের সংবিধানে দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদের অনুমোদনের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের যে বিধান ছিল, সংবিধান সংশোধন করে সেটিই আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
পাশাপাশি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক অপসারণের নিয়মটি বাদ পড়ছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিলটি পাস হবে।
বিএনপি সরকারের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছে।