বিচার বিভাগের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার জন্যই বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
Published : 18 Aug 2014, 03:16 PM
তিনি মনে করেন, সংসদের হাতে এই ক্ষমতা দিলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না।
বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিতে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এই সংশোধনীর দ্বারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না, বরং বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় জনগণের যে সুফল লাভ সেটাই এই সংশোধনীর মারফত আরো পাকাপোক্ত হবে।”
রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা ও স্পিকারকে অপসারণের ক্ষমতা সংবিধানে সংসদের হাতে দেয়ার তথ্যও এ প্রসঙ্গে তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “সব ক্ষমতাই যখন সংসদের উপর ন্যস্ত, আর জনগণের পরেই সংসদের ক্ষমতা... বিচার বিভাগ স্বাধীন, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো ডাউটস নাই।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিলটি পাস হবে বলে জানান মন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, বিল পাস হলে তিন মাসের মধ্যেই আইন করা হবে। কোন পদ্ধতিতে একজন বিচারককে অপসারণ করা যাবে তার বিশদ ব্যাখ্যা থাকবে ওই আইনে।
“সকল পক্ষই যাতে সুস্পষ্টভাবে তাদের বক্তব্য বলতে পারেন এবং কোনো পক্ষের যাতে ডিফেন্স অধিকার ক্ষুণ্ন না হয় সে বিষয়টি আইন থাকবে।”
অভিযোগকারী ও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ- সবার অধিকারই আইনে রক্ষা করা হবে বলে জানান আনিসুল।
বিচারপতিদের অপসারণরে পুরো প্রক্রিয়া কেমন হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত না জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে গবেষণা করে আইনে বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা রাখা হবে।”
১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকলেও পরে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এক সামরিক ফরমানে ওই অনুচ্ছেদ বাতিল করেন।
পরে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয় ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের’ কাছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার পক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তবে বিএনপির অভিযোগ, ক্ষমতা পোক্ত করতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।