সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার কবরবাড়িয়া গ্রামে এই হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহতরা হলেন-ওই গ্রামের ইয়াকুব আলী সর্দারের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫৫)ও আব্দুল ওহাব (৪৫)।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল সংলগ্ন বিশাল একটি জলমহাল ইজারা নেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোরবান বিশ্বাসের সমর্থকদের সঙ্গে সাবান-মালিথা পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল।
এর জের ধরে সোমবার ইফতারের পর আমিরুল মালিথার নেতৃত্বে একদল বিশ্বাস পক্ষের ইয়াকুব আলী সর্দারের বাড়িতে হামলা চালায় বলে মিরপুর থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এ সময় সন্ত্রাসীরা ইয়াকুব আলী সর্দারের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও আব্দুল ওহাবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত এবং লাঠিপেটা করে।”
ওহাব ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে শহিদুল মারা যান।
এ হামলার পর দুই পক্ষের সংঘর্ষে ধারলো অস্ত্র, ইট ও লাঠি সোঠার আঘাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন বলে ওসি জানান।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিশ্বাস পক্ষের ইসরাইল হোসেন ও রাব্বি নামের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক।