রোববার বিকালে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আজাদ মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তবে, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া তিন এসআই হলেন মোস্তফা কামাল, তাজুল ইসলাম ও আল আমিন, এক কনস্টেবল হলেন সাজ্জাদুল ইসলাম।
সাময়িক বরখাস্তরা হলেন এসআই উত্তম কুমার দে এবং ১০ কনস্টেবল সুজন কান্তি নাথ, মো. শামিমুল এহসান, নুরুল আলম, আবুল কামাল আজাদ, আবদুর রউফ, রাসেল ভুঁইয়া, হাসান শরীফ, সালা উদ্দিন মোল্লা, মিথুন দাশ ও কামরুল ইসলাম।
এসপি আজাদ মিয়া জানান, শুক্রবারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষে গুলি বর্ষণের কোনো অনুমতি প্রদান করা হয়নি। অনুমতি ছাড়া গুলি বর্ষণের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দায়ী এ ১৫ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এক সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বলেন, এ ঘটনা তদন্তে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের এক সভায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এর জেরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কক্সবাজার সদর থানা, ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়, পুলিশের ব্যারাকে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, এবি সিদ্দিক খোকন, পুলিশ কনস্টেবল দিলু অং মামরাসহ পাঁচ জন আহত হন।
তবে, ঘটনার একদিন পর ছাত্রলীগ থানা, ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয় ও পুলিশের ব্যারাকে হামলা করার কথা অস্বীকার করেছে।