বাংলাদেশের অনলাইনভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমের নীতিমালা শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
Published : 12 Jun 2014, 06:37 PM
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।
‘অনলাইন গণমাধ্যম সহায়ক নীতিমালা’ প্রণয়নে প্রধান তথ্য কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
এরপর গত বছরের ২০ জানুয়ারি কমিটি পুনর্গঠন হয়। কমিটিকে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তফা জব্বারকে আহ্বায়ক করে একটি উপ-কমিটি গঠনও করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এ উপকমিটি একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করে দাখিল করেছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যথা শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।”
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আমিনা আহমেদ মন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, অনলাইনভিত্তিক কয়টি সংবাদ মাধ্যম রয়েছে, এগুলোর জন্যে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে কি না?
তথ্যমন্ত্রী এর উত্তরে আরো জানান, তথ্য অধিদপ্তরের সংরক্ষিত তালিকা অনুযায়ী অনলাইনভিত্তিক ৮৩টি সংবাদ মাধ্যম রয়েছে।
তথ্য অধিদপ্তর থেকে যেসব অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের জন্য এক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করা হয়েছে, সেই ৮৩টির তালিকা দেন মন্ত্রী।
এর মধ্যে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ফোকাস বাংলা রয়েছে।
সংবাদপত্রকর্মী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ
চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য বাংলাদেশের সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা এবং সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণবিধি ১৯৯৩(২০০২ সাল সংশোধিত) প্রণয়ন করা হয়েছে।
এছাড়া ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪’ ও ‘সংবাদপত্র কর্মী (চাকরির শর্তবলি) আইন, ২০১৪’ প্রণয়নেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইনু বলেন, “বর্তমান সরকার গণমাধ্যমবান্ধব এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় পুরোপুরি বিশ্বাসী। বস্তুত সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারে ক্ষেত্রে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য সরকার দ্য প্রেস কাইন্সল অ্যাক্ট ১৯৭৪ যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে।”
জনস্বার্থ হানিকর বিজ্ঞাপন বন্ধে নির্দেশনা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইদানীং কিছু বেসরকারি টিভি চ্যানেল বিভিন্ন প্রকার রোগের গ্যারান্টিসহ চিকিৎসা ও চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন নীতিমালা থাকলেও বেসরকারি টিভির তা নেই।
“জাতীয় ঔষধ নীতিমালা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিষয়বলীর ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না করার জন্য সুনির্দিষ্ট বিধি নিষেধ রয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয় হতেও অবৈধ পণ্য/ঔষধ বিপণন বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার না করার জন্য বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।”
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে জানিয়ে ইনু বলেন, এই নীতিমালা প্রণীত হলে জনস্বার্থের জন্য হানিকর তথা প্রচারমূলক বিজ্ঞাপন প্রচারে অধিকতর বিধি-নিষেধ আরোপ সম্ভব হবে।