উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনা ওঠায় বাংলাদেশের শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Published : 03 Jun 2014, 07:15 PM
আগামী ১১ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “সভায় শিক্ষার মানোন্নয়নসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। আমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি করে পাঠানো হচ্ছে।”
সভায় প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে আলোচনা হবে কি না- এ প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেন, “যেহেতু শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তাই এই বিষয়টিও আলোচনায় আসতে পারে।”
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এইচএসসির কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণেই ওই সভা ডাকা হয়েছে।
প্রশ্ন ফাঁসের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামা অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালও আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক মেসবাহ উদ্দিন, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক কাজী ফারুক আহমেদকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সেলিনা হোসেনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদেরও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
এবারের এইচএসসিতে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
তবে চলতি এইচএসসির পদার্থ, রসায়ন, গণিতসহ কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন ফাঁসের ‘প্রমাণ’ দিয়ে জাফর ইকবাল চারটি নিবন্ধ লেখেন। জাফর ইকবালের তিনটি নিবন্ধ গণমাধ্যমে প্রকাশের পরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও একটি লেখায় তার জবাব দেন।
কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা স্বীকার না করায় গত ২৯ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করেন জাফর ইকবাল। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
আগামী শুক্রবারও (৬ জুন) জাফর ইকবালের শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি।