ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যায় জড়িত সন্দেহে আরো চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Published : 27 May 2014, 07:23 PM
অভিযানে দুইটি পিস্তল, ৯ রাউন্ড গুলি ও ৩ ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে একটি পিস্তল একরাম হত্যায় ব্যবহৃত হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোম ও মঙ্গলবার র্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তাররা হলেন মীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সজিব ও আবদুর রব।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক মাহতাব মিনারকে।
এই নিয়ে একরাম হত্যায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা হলো ২০, যাদের সাতজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
ফেনী সদরের রামপুর এলাকায় র্যাব-৭ কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মহিউদ্দিন জানান, র্যাব-১ গাজীপুর জেলা থেকে মীর হোসেন ও জাহিদুল ইসলামকে আটক করে।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার রাতে র্যাব-৭ ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সজিবকে আটক করে।
সজিবের কাছ থেকে একটি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। পিস্তলটি একরাম হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছিল বলে তিনি জানান।
মীর হোসেন ও জাহিদুল ইসলামকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে, সজিব রয়েছেন র্যাব হেফাজতে, বলেন মেজর মহিউদ্দিন।
ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী সদরের কাজির বাগ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রাম থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রবকে আটক করা হয়েছে।
জিহাদের স্বীকারোক্তিতে অস্ত্র উদ্ধার
এসআই আলমগীর আরো জানান, পুলিশ হেফাজতে থাকা হত্যার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ জিহাদ চৌধুরীর দেয়া তথ্য থেকে মঙ্গলবার সকালে শহরের সালাম কমিউনিটি সেন্টারের টেলিভিশনের বক্স থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে।
গত ২০ মে ফেনী শহরে প্রকাশ্যে একরামকে গুলি চালানোর পর গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় তাঁতী দল নেতা মিনারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত একরামের ভাই।