বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কারওয়ান বাজারের পেট্রোসেন্টার থেকে একটি মিছিল নিয়ে তারা প্রথম আলো কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়।
তাদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আগে থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ছিল।
পুলিশ বাধা দিলে প্রথম আলো কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয় তারা। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থানের পর ৫টার দিকে পেট্রোসেন্টারে ফিরে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করে তারা।
‘সিপি গ্যাং’ প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল এবং প্রকাশনা বন্ধের দাবি জানিয়েছে। বিক্ষোভের সময় প্রথম আলোর কয়েকটি কপি পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায় তারা।
সংগঠনের আহ্বায়ক রাসেল রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অবিলম্বে প্রথম আলোর লাইসেন্স বাতিল ও প্রকাশনা বন্ধ করতে হবে এবং এর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ প্রতিবেদনটি প্রকাশের সাথে যারা যুক্ত ছিলেন, সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
গত শনিবার ‘চা-বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী’ শিরোনামে প্রথম আলোর আন্তর্জাতিক খবরের পাতায় ‘সারাবিশ্বে’ অংশে ভারতের হবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বুলেট পয়েন্ট জীবনী ছাপা হয়।
এরপরই সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে প্রথম আলো।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ফেইসবুকে এক স্ট্যাটাসে প্রথম আলো বর্জনের আহবান জানান।
এর একদিন পরেই পত্রিকাটি ঘেরাও করতে যায় ‘সিপি গ্যাং’। আগের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিভিত্তিক সংগঠনগুলোও প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে।