ভারতে নরেন্দ্র মোদির নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।
Published : 19 May 2014, 12:01 AM
কংগ্রেসকে হটিয়ে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি প্রতিবেশী দেশটিতে ক্ষমতায় বসলেও তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু দেখছেন না কমিটির সদস্যরা।
দশম সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রোববার প্রথম বৈঠকে বসলে তাতে ভারতের নির্বাচন এবং নতুন সরকার নিয়ে আলোচনা হয়।
সংসদ ভবনে বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারত ৬২ বছরের পুরনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। হঠাৎ করে তাদের পররাষ্ট্র নীতির পরিবর্তন হবে না।
“কমিটি মনে করে ভারতের নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বিএনপি এটা নিয়ে যে বাড়াবাড়ি করছে, এটা করারও কোনো কারণ নেই।”
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিজেপির নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার গঠিত হলেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার অব্যাহত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে মর্মে বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।”
ভারতে ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।
মোদি নির্বাচনী প্রচারের সময় ভারত থেকে কথিত বাংলাদেশিদের বিতাড়নের কথা তোলায় তার সরকারের বাংলাদেশ নীতি নিয়ে অনেকের মধ্যে উৎকণ্ঠা রয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগ পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার নিলেও ভারতে বিরোধিতার কারণে এগোতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে কংগ্রেসের ঐতিহাসিক সম্পর্কের দিকটির দিকে ইঙ্গিত করে অনেকে বলছেন, বিজেপি সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্ক মনমোহন সিংয়ের সরকারের মতো হবে না।
তবে আওয়ামী লীগ আশাবাদী, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অগ্রগতির যে ধারা গত পাঁচ বছরে চলছে, তা বিজেপির সময়ও অব্যাহত থাকবে।
ফারুক খান বলেন, “ভূ-রাজনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। ভারত সব সময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখতে চাইবে।”
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, স্থলসীমান্ত চুক্তিটি অচিরেই ভারতের নতুন পার্লামেন্টে অনুমোদন হবে।
কমিটির সভাপতি দীপু মনির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুহাম্মদ ফারুক খান, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, কাজী নাবিল আহমেদ, মো. সোহরাব উদ্দিন ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল অংশ নেন।