আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) এ তালিকা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির প্রথম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটি বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, রাজধানীর পুরানা পল্টন, রমনা ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় বেশকিছু ভবন সরকারি বিধি উপেক্ষা করে ৯ তলার পরিবর্তে ১৮ তলা এবং ৬ তলার পরিবর্তে ১৬তলা করা হয়েছে।
রাজউকের ২০০৫-০৬ অর্থবছরের হিসাব সম্পর্কিত মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন, ২০১০-১১ অর্থবছরের নিরীক্ষা আপত্তি আলোচনার সময় এসব বিষয় উঠে আসে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ভবন নির্মাণকারীকে অবৈধ সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি রাজউকের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।”
এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করেছে।
এদিকে অনিয়মের মাধ্যমে হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় থাকা রাজধানীর গুলশান-বনানী এলাকায় ১৬২টি পরিত্যক্ত প্লট হস্তান্তর না করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মূল নথির অস্তিত্ব না রেখে পরিত্যক্ত সম্পত্তি অবমুক্তির মাধ্যমে হস্তান্তর করায় রাজউকের ১০ কোটি ৮৮ লাখ ২৮ হাজার টাকার ক্ষতি এবং যথাযথ উত্তরাধিকার সনদ ও পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকা হতে অবমুক্তি ছাড়াই নামজারি করায় সরকারের ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে গুলশান-বনানী এলাকার ওই সব প্লট হস্তান্তর না করতে রাজউককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ওই এলাকায় প্লটগুলো অবমুক্তির জন্য কারা আবেদন করেছিলেন, কাদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং কবে নাগাদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে কমিটির কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আব্দুস শহীদ, আ ফ ম রুহুল হক, মো. আফসারুল আমীন, বেগম রেবেকা মমিন, শামসুল হক টুকু, মো. রুস্তম আলী ফরাজী ও বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশ নেন।
সিএজি মাসুদ আহমেদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. গোলাম রব্বানী, রাজউক চেয়ারম্যান জিএম জয়নাল আবেদীন ভূইয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।