বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার গোলাম রউফ খান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার কর্ণকাঠি এলাকায় বরিশাল- পটুয়াখালী সড়কে এ সংঘর্ষ হয়।
তিনি আরো জানান, অর্ধেক ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই ছাত্রকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় শ্রমিকরা। এর জের ধরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এবং রাস্তায় ইট বিছিয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
উপ-কমিশনার গোলাম রউফ খান বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীরা। এতে র্যাব- এর হাবিলদার আছাদ ও পুলিশ কনস্টেবল সিদ্দিক আহত হয়।
পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তাহসান আজীম বলেন, সকালে কর্নকাঠীতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য নগরীর রূপাতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি লোকাল বাসে উঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র নঈমউদ্দিন।
“নঈম অর্ধেক ভাড়া তিন টাকা দিতে চাইলে বাসের শ্রমিক পাঁচ টাকা দাবি করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে বাস থেকে ফেলে দেয় শ্রমিকরা।”
গুরুতর আহত নঈমকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের সভাপতি শফিউল আলম বলেন, সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শাখাওয়াত, মোফাজ্জেল, সজল, শিতুল, নাছিম, নেওয়াজ ও শান্তকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।