কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় আবারো শহীদ মিনারে আঘাত এসেছে; আর এবারের ঘটনাটি ঘটেছে একুশের প্রথম প্রহরে।
Published : 21 Feb 2014, 12:50 PM
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পেরিয়ে যাওয়ার পর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ উপজেলায় দুটি স্কুলের শহীদ মিনারে হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
মহেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম খান বলেন, রাতে দুর্বৃত্তরা স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে শহীদ মিনার ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এতে মিনারের দুই দিকের স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হলেও শুক্রবার সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন সবাই।
এর ঠিক আগের দিন কুমারখালীর ‘যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ ও পাবনার চাটমোহরের হরিপুর ইউনিয়নের ‘বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’-এর শহীদ মিনার রাতের আঁধারে ভেঙে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঘটনার জন্য জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের দায়ী করেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শরিফুল ইসলাম।
এদিকে এক দিনের ব্যবধানে একই উপজেলার দুটি শহীদ মিনার ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
তাদের বক্তব্য, উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে এসব শহীদ মিনার ভাংচুরের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত।
কুমারখালী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, যদুবয়রা মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাংচুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় জামায়াতকর্মী শামসুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“তবে মহেন্দ্রপুর বিদ্যালয়ের ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”