এ ঘটনার জন্য জামায়াত-শিবির কর্মীদের দায়ী করেছে একটি স্কুলের কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে কুমারখালী ‘যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ ও চাটমোহরের হরিপুর ইউনিয়নের ‘বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’-এর শহীদ মিনার দুটি ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়।
যদুবয়রা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাতের বেলা একদল দুর্বৃত্ত নৈশ প্রহরী শামসুলকে বেঁধে শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভ ভেঙে দিয়ে যায়।
তিনি জানান, ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। এরপর মুক্তিযুদ্ধের বছর সেটিকে স্থায়ী রূপ দেয়া হয়।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, “জামায়াত-শিবিরের কর্মীরাই শহীদ মিনার ভাঙার জন্য দায়ী। আমরা তাদের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছি।”
দোষীদের বিচারের দাবিতে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে মিছিলও করেছে।
সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, “বিষয়টি স্পর্শকাতর বিবেচনায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
জেলার পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহমেদও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
কুমারখালী খানার ওসি (তদন্ত) সালেকুজ্জামান বলেন, তারা বিষয়টির তদন্ত করে দেখছেন। দোষী যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে রাতের কোনো এক সময় পাবনার চাটমোহরে ‘বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’-এর শহীদ মিনারও দুর্বৃত্তরা ভেঙে ফেলে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকালে স্কুল খুললে তারা শহীদ মিনার ভাঙা অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন।
চাটমোহর থানার ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সী বলেন, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।”
কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের পর সারা দেশে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। সে সময় সিলেট, ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে শহীদ মিনারে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়।