বিজয়ের স্মৃতিময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে চট্টগ্রামেও জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন হাজারো মানুষ।
Published : 16 Dec 2013, 08:25 PM
সোমবার বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা।
বিকাল ৪টা থেকে চেরাগী পাহাড় মোড়ে সমবেত হতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দেশাত্মবোধক গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সমবেতদের উদ্দেশ্যে গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান বলেন, ৭১ সালের এই দিনে বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ এবং বাঙ্গালির চূড়ান্ত বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতেই এই আয়োজন।
“যতদিন পর্যন্ত রাজাকার-আলবদর থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সঙ্গে আজ এই শপথ নিচ্ছি।”
এরপর কয়েক হাজার মানুষ একযোগে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে, যাদের মধ্যে রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, পেশাজীবী, গৃহিণী, শিক্ষার্থী ও শিশুরাও ছিল।
এসময় উড়তে থাকে লাল-সবুজের পতাকা।
একই সময়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ও পাড়া-মহল্লায় একযোগে সমবেত হয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে উঠেন স্থানীয়রা। তাদের সঙ্গে পথচারী ও আশেপাশের ভবনের বাসিন্দারাও দাঁড়িয়ে গলা মেলান। সবাই একযোগে গেয়ে চলেন, “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।”
“এতদিন মনে দ্বিধা আর গ্লানি নিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করতাম। আজ মুক্ত মনে বিজয় দিবস উদযাপন করছি। ৪২ বছর পর শহীদের আত্মা শান্তি পেয়েছে।”
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন শেষে ‘জয় বাংলা’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জামায়াত শিবিরের রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ কর’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘তুমি কে আমি কে বাঙ্গালি বাঙ্গালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা’ শ্লোগানে চারপাশ মুখরিত হয়ে ওঠে।