একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয়ের চেতনায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে চলছে কনসার্ট ফর ফ্রিডমের দ্বিতীয় পর্ব।
Published : 16 Dec 2013, 05:19 PM
সোমবার বিজয় দিবসে বিকাল পৌনে তিনটার দিকে ‘বিজয় ২০১৩’এর মঞ্চে শুরু হওয়া এই কনসার্টকে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর সঙ্গে তুলনা করছেন আয়োজকরা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের দুর্গত মানুষের সাহায্যের জন্য ১৯৭১ সালে ১ অগাস্টে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন গার্ডেন স্কয়ারে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করেন বিখ্যাত সেতারবাদক ওস্তাদ রবি শঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসন।
সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় শুরু হওয়া কনসার্ট ফর ফ্রিডমের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে ব্যান্ডদল মেকানিকসের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।
এই পর্বে আরো পরিবেশন নিয়ে আসবে ব্যান্ডদল স্লোগান, ব্ল্যাক, পেন্টাগন, ডি এলিনিমেশন, নেমেসিস, ক্রিপ্টিক ফিট, উচ্চারণ, শূন্য, দলছুট, ওয়ারফেজ ও সোলস।
এই প্রথম পর্বে ব্যান্ড দল ওল্ড স্কুল, রেডিও অ্যাকটিভ, দৃক ও গানের দল ‘জাগরণ’ সঙ্গীত পরিবেশন করেছে। গানের মাঝে মাঝে চলছে আবৃত্তি ও স্লোগান।
সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে স্বাধীনতা উদ্যান নামে পরিচিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয় ‘বিজয় ২০১৩’।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিরবতা পালন করা হয়। পরে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধের উপসর্বাধিনায়ক একে খন্দকার ।
পৌনে চারটা থেকে ৪টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এরপর বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
সোয়া ৪টায় অভিনীত হয় ১৯৭১-এর পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক ঘটনা।
বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে দেশ ও বিশ্বব্যাপী লক্ষাধিক কন্ঠে সমবেত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে থাকবে আতশবাজি উৎসব। এর পর শুরু আবারো শুরু হয়ে কনসার্ট ফর ফ্রিডম, যা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
বিজয় ২০১৩ উদযাপন জাতীয় কমিটি, গণজাগরণ মঞ্চ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বাস্তবায়ন কমিটি এবং বিজয় ৪:৩১ মঞ্চ সম্মিলিতভাবে জাতীয় ভাবে ‘বিজয় ২০১৩’ উদযাপন করছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।