বিরোধী দলের অবরোধের মধ্যে লক্ষ্মীপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপিকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
Published : 12 Dec 2013, 12:26 PM
সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত লোকমান হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সংঘর্ষে নিহত চার জনের লাশ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া শহরের মুক্তিগঞ্জে ইসলাম মার্কেটের সামনে একটি লাশ পড়ে থাকার কথা জানা গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
সংঘর্ষে আহত আরো ১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল মাহমুদ জুয়েলও নিহত হয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুর বাসায় র্যাব অভিযান চালালে সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে সাবুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর বিএনপি ও যুবদলকর্মীরা মিছিল বের করলে শহরের চকবাজার মসজিদের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় মিছিলকারীরা ককটেল ছুড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। শহরের উত্তর তেমোহান ও ঝুমুর সিনেমার কাছেও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আবু খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আগে জানিয়েছিলেন জানান, মামুন ও মাহবুবুর রহমান নামে দুই জনের লাশ হাসপাতালে এসেছে। তাদের দুজনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
এছাড়া গুলিবিদ্ধ আরো ১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহতদের মধ্যে মামুন ইসলামী ছাত্র শিবির ও মাহবুবুর রহমান স্থানীয় বিএনপির নেতা বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে সকালের দিকে শহরের মুক্তিগঞ্জে ইসলাম মার্কেটের সামনে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান।
সদর থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর বলেন, “রাস্তার পাশে একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে আমরা লোক পাঠিয়েছি।”
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় বিভিন্ন স্থানে এখনো বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শহরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে হতাহতের প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেলে জেলা বিএনপি।