ঘটনার পেছনে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় রাতের অন্ধকারে মিনি অডিটোরিয়ামের সামনে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘চেতনা ৭১’ এর নামফলকের একটি অক্ষর ভেঙে সেটিকে ‘চতনা ৭১’ বানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ওই ভাস্কর্যটিতে একজন ছাত্র জাতীয় পতাকা তুলে ধরেছেন, আর তার পাশে দাঁড়ানো ছাত্রীর হাতে একটি বই।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাস্কর্যে ভাংচুর মৌলবাদি ও পরাজিত শক্তির কাজ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করে না, যারা এতে অভ্যস্ত নয় তারাই এই কাজ করেছে। ওরা সব সময়ই আঘাত করার জন্য অন্ধকারকে বেছে নিয়েছে। এক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান গোলাম রাব্বি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক কবির হোসেন বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন এবং তরুণ প্রজন্মকে এ বিষয়ে জানানোর জন্য এ ভাস্কর্যের নির্মাণ। ভাস্কর্য ভাঙচুর অত্যন্ত বেদনাদায়ক।”
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আমিনুল হক ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “ভাস্কর্য ভাংচুরের বিষয়টি সকালে দুই জন শিক্ষার্থী আমাকে অবহিত করেছেন। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ভাস্কর্য সংস্কারের জন্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।”
এর আগে জানুয়ারি মাসে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামে ডানপন্থী শিক্ষকরা। সে সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মূর্তি’ স্থাপনের পরিবর্তে ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি জানায়।
ওই আন্দোলনের পরপরই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ পথচিত্র আঁকেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা, যাকে তারা পৃথিবীর দীর্ঘ আলপনা হিসাবে দাবি করে আসছেন।