যুদ্ধাপরাধের সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।
Published : 15 Jul 2013, 08:38 AM
এই রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটররা।
সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণার পর প্রসিকিউশনের সমন্বয়ক এম কে রহমান বলেন, গোলাম আযমকে ৯০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
“পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ দণ্ড। মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলে থাকতে হবে।”
রায়ে সন্তষ্ট নন জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন, “উই আর নট হ্যাপি। ট্রাইব্যুনাল বলেছে- তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়াটাই শ্রেয়। কিন্তু বয়স ও শারীরিক অবস্থার বিবেচনায় তাকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পূর্নাঙ্গ কপি হাতে পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে আপিলের বিষয়ে করনীয় নির্ধারণ করব।”
চল্লিশ বছর অপেক্ষার পর ‘আংশিক ন্যায়বিচার’ পেয়েছেন বলেও জানান সমন্বয়কারী।
প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, “দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা ছিল রাজাকারের সর্বোচ্চ নেতার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। এ বিষয়ে বিচারকরাও একমত যে, তার সর্বোচ্চ শাস্তিই হওয়া উচিৎ। এরপরও সর্বোচ্চ শাস্তি না দেয়ায় দেশবাসীর অনুভূতির সাথে একমত হয়ে আমরা বলছি, আমরা এ মামলায় আপিল করব।”