চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী পুরুষ প্রার্থীদের বেশিরভাগই ব্যবসায়ী। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এ চিত্র ভিন্ন, নির্বাচন করছেন অনেক গৃহিনী।
Published : 30 May 2013, 03:00 PM
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন প্রার্থীদের হলফনামায় দেয়া এ তথ্য প্রকাশ করে।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আগামী ১৫ জুন রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল এবং খুলনা এই চার সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের তারিখ রয়েছে।
হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরসহ মোট প্রার্থী ৭৪৭ জন, যাদের মধ্যে ৪০৯ জনের পেশা ব্যবসা। মেয়র পদে ১২ জনের ১০ জন, ৫৪২ কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীর ৩৮০ জন এবং মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর ১৯৩ জনের মধ্যে ১৯ জনই ব্যবসায়ী।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে তিন মেয়র প্রার্থীর দুই জন ব্যবসায়ী এবং অন্যজন আইনজীবী। কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৫৪ জনের মধ্যে ৫৩ জন বাদে সবাই ব্যবসায়ী। কৃষিজীবী আছেন ২০ জন।
অন্যদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনে মেয়র, কাউন্সিলর এবং মহিলা কাউন্সিলর মিলে মোট প্রার্থী ১৬৫ জন। এর মধ্যে তিন মেয়র প্রার্থীর সবাই ব্যবসায়ী। আর ১৮৫ কাউন্সিলর প্রার্থীর ৮৫ জন ব্যবসায়ী হলেও ৪৭ মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর ২৪ জন গৃহিনী ও চারজন ব্যবসায়ী।
সিলেট সিটি করপোরেশনে মেয়র, কাউন্সিলর এবং মহিলা কাউন্সিলর মিলে মোট ১৭৪ প্রার্থীর ১০৮ জনই ব্যবসা করেন। তিন মেয়র প্রার্থীর দুই জন হলফনামায় পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করলেও অন্যজন কোন পেশা উল্লেখ করেননি।
কাউন্সিলর প্রার্থীর ১৩৬ জনের ১০৫ জনই পেশা হিসেবে ব্যবসা এবং বাকিরা চাকরি, আইন ও অন্যান্য পেশা উল্লেখ করেছেন।
মোট ৩৫ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর ২৩ জন হলফনামায় নিজেকে গৃহিনী এবং ১২ জন ব্যবসাসহ অন্যান্য পেশায় জড়িত থাকার কথা জানিয়েছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিন মেয়র প্রার্থীর সবাই ব্যবসায়ী। কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩৭ জন। এদের মধ্যে ৮৯ জন পেশা হিসাবে ব্যবসা, ১৮ জন চাকরি, আটজন কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন।
তবে ১২ জন হলফ নামায় পেশা হিসেবে কোন কিছুই উল্লেখ করেননি।
এই সিটির ৩১টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২২ গৃহিনী, সাত জন ব্যবসায়ী, চার জন চাকরিজীবী, একজন আইনজীবী ও একজন অন্য পেশার।