রোববার কমিশনের ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সকল উপপরিচালক এবং সাতটি বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালকদের এই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মৌসুমের দ্বিতীয় দফা বন্যায় এখন ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ জেলার ১৭৬টি উপজেলার ৪৪টি পৌরসভা ও ১৩১৭টি ইউনিয়নের ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৯৫৪ মানুষ।
উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চলার মধ্যে দুদকের তদন্ত অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. জাফর ইকবাল জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ‘বিশেষ বার্তার মাধ্যমে’ ওই নির্দেশনা দেন।
এতে বলা হয়, “এরআগে কমিশন দরিদ্রদের জন্য ১০ টাকার চাল বিতরণে যেভাবে অনিয়ম বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, এই ক্ষেত্রেও অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সব কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং নিজস্ব সোর্সদের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রমে নজর রাখতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশনায়।
কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালককে (তদন্ত) জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ (তিন লাখ টাকা) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও দুদক জানিয়েছে।
কমিশনের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী এই টাকার ‘পে অর্ডার’ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে রোববার হস্তান্তর করেন বলে দুদকের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।