‘উইমেন প্রেসিডেন্টস অ্যান্ড প্রাইম মিনিস্টার্স’ নামে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারকর্মী রিচার্ড ও’ব্রিয়েনের লেখা বইটির প্রচ্ছদে সাত নেতার মধ্যে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে উইমেন্স ন্যাশনাল ডেমক্রেটিক ক্লাবের আয়োজনে এই বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কূটনীতিক ও নারী ব্যক্তিত্বরা অংশ নেন বলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনার বক্তব্য ‘বাংলাদেশকে যখন আমি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ, ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব, সম্ভবত তখনই আমি বলতে পারব যে, আমি গর্বিত’ তুলে ধরা হয়েছে বইতে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় নেতৃত্বের কথা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সময় তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
বইতে বলা হয়, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বহুমুখী ষড়যন্ত্রের মধ্যে শেখ হাসিনাকে মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করতে হয়। কিন্তু জনতার সমর্থন অব্যাহত থাকার পাশাপাশি জনগণের প্রতি তার দায়বদ্ধতা সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেয়।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা অনেক দূর এগিয়েছেন বলে লেখক প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশকে অধিকতর স্থিতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সুসংহত করা ও সহিংসতা রোধে তিনি নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন।
১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদনে ভূমিকা এবং মাদার তেরিজা অ্যাওয়ার্ড ও গান্ধী অ্যাওয়ার্ড পাওয়াকে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তুলে ধরা হয়ে এই বইতে।