এই সেতু হয়ে বাসগুলো ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি অনেক বাস। কখন বাস আসবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে না পারায় কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করা অনেক যাত্রীকে ফিরিয়ে দেন বেশ কয়েকটি বাসের কাউন্টার কর্মীরা।
দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকামুখী বাসগুলোর সেতু পারাপারে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে বলে ওই রুটের পরিবহনের কাউন্টারকর্মীরা জানান।
সায়েদাবাদে হিমাচল পরিবহনের যাত্রী তাওহীদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত ৮টায় কাউন্টারে আসার পর বাসের লোকজন অপেক্ষা করতে বলে। ১০টার পরও তারা টিকেট দিতে পারেনি।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পথে চলাচলকারী ঈগল পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক আদিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে কাঁচপুর, মেঘনা ও দাউদকান্দি সেতুতে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
“ঢাকায় ফেরার পথে সেতুগুলোতে তিন থেকে চার ঘণ্টার অপেক্ষায় পড়ে গাড়িগুলো।”
নোয়াখালীর পথে চলাচলকারী হিমালয় এক্সপ্রেসের কাউন্টার ব্যবস্থাপক বেলায়েত হোসেন জানান, সকাল ১১টায় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা বাসটি বিকাল ৩টায় মেঘনা সেতুর জ্যামে আটকা পড়ে। রাত ১০টায়ও সেটি ঢাকায় ঢুকতে পারেনি।
রাতে গাড়িগুলো সময় মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারায় নতুন করে টিকেট বিক্রি থেকে বিরত থাকতে দেখা যায় নোয়াখালীর পথে চলাচলকারী একুশে এক্সপ্রেসের কাউন্টারকর্মীদের।
সবুজ নামের ওই কাউন্টারের এক কর্মী জানান, রাত ৯টা পর্যন্ত তাদের ৫২টা কোচ ঢাকা ছেড়ে গেছে। তবে দুপুরের পর কোনো গাড়ি ঢাকায় না আসায় সন্ধ্যার পর থেকে নতুন করে টিকেট বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তারা।
উত্তরবঙ্গে চলাচলকারী নাবিল পরিবহনের কর্মী শাহীদ জানান, গাড়িগুলো মাঝে মধ্যে ধীর গতিতে চলছে। কিন্তু কোথাও কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি এবার।
“সকালের দিকে যাত্রীদের চাপ কম থাকলেও বিকালে অনেক বেড়েছে। তবে নাবিল পরিবহনের অধিকাংশ টিকেট আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় এ নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়নি।”