এএসপি মিজান হত্যার তদন্ত করবে ডিবি

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যা মামলা তদন্ত করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2017, 03:59 PM
Updated : 22 June 2017, 03:59 PM

পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “মামলাটি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে, উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।”

বুধবার সকালে রাজধানীর রূপনগর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বিরুলিয়া ব্রিজের কাছে রাস্তার পাশে গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় মিজানুর রহমানের লাশ পাওয়া যায়। পঞ্চাশোর্ধ্ব মিজানুর হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর অঞ্চলের সাভার সার্কেলের দায়িত্বে ছিলেন।

এ ঘটনায় রাতে মিজানুরের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত পরিচয় একাধিক ব্যক্তিকে মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে ওই থানার ওসি সৈয়দ শহীদ আলম জানিয়েছেন।

মাসুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। খুনিদের আইনের আওতায় আনতে সবার সহযোগিতা চাই।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের পর বিকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের পারিবারিক কবরস্থানে মিজানুরকে সমাহিত করা হয়েছে।

তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন।

মিজানুর রহমান

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মিজানুরের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের চামড়ার নিচে জমাট রক্ত দেখা গেছে। গলায় দাগ রয়েছে।”

এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ জুলাই দিন রেখেছে আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন জমার এ দিন ধার্য করেন বলে পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান।

বুধবার সেহেরি খাওয়ার পর ভোর ৫টার দিকে সাধারণ পোশাকে উত্তরার বাসা থেকে কর্মস্থল সাভারের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন এএসপি মিজানুর। বাসা থেকে গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট দূরত্বে তার লাশ পাওয়া যায়। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণার কথা বলেছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

চার ভাই বোনের মধ্যে মিজানুর রহমান ছিলেন সবার বড়।

“বড় ভাই সব সময় আমাদের আগলে রাখতেন। তিনি জীবনে যেখানেই দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেই অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন,” বলেন মাসুম তালুকদার।

মিজানুর রহমানের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।